কোন খাবার খেলে চোখের দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখে বৃস্তারিত দেখুন

চোখ আমাদের একটি অত্যন্ত মূল্যবান জিনিস। এ টেকনোলজির যুগে আমরা অধিক সময় ধরে মোবাইল, ল্যাপটপ ও কম্পিউটার ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকি। আর এই চোখের দৃষ্টিশক্তি আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। মোবাইল ল্যাপটপ ইত্যাদি, অধিক মাত্রায় ব্যবহারের ফলে আমাদের দৃষ্টি শক্তি দিন দিন কম হতে থাকে। আর কোন খাবার খেলে চোখের দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখে এই সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না

সূচিপত্রঃআজকের আটিকেলে  কোন খাবার খেলে চোখের দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখে  এই সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানব। আরও জানবো চোখ থেকে চশমা দূর করার উপায় । এসব জানতে হলে আজকের আটিকেলটি খুব মনোযোগ সহকারে পরতে হবে। তো চলুন বেশি কথা না বলে আজকের আটিকেলের বিষয় সম্পর্কে জানা যাক।

চোখ আমাদের একটি মূল্যবান সম্পদ। চোখ দিয়ে আমরা সব কিছু দেখতে পারি। বয়স বাড়ার সাথে সাথে চোখের দৃষ্টি কম হতে থাকে। আর নানা কারন থেকে আমাদের দৃষ্টি শক্তি কম হতে পারে।যেমন সব সময় মোবাইল, কম্পিউটার ইত্যাদি ব্যবহারের ফলে চোখের দৃষ্টি শক্তি কম হতে পারে। চোখকে ভালো রাখতে হলে আমাদের অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। তাদের মধ্যে হল কি খেলে চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়ে এবং কোন ব্যায়াম করলে চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়। আরও গুরুপ্তপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আজকের পোষটিতে জানতে পারবেন । নিচে চোখ সম্পর্কে আর গুরুপ্তপূর্ণ তথ্য দেওয়া হয়েছে।

চোখের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খাবার খাবার মাধ্যমে আপনি অনেক কিছু করতে পারেন। অনেক ধরনের খাবার আপনার চোখের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে।

ভিটামিন A ধারণ করা: ভিটামিন A চোখের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। লাউকি, গাজর, পালং শাক, মাছ, ডিম, ডেয়ারি প্রোডাক্টস এবং মাংস ভিটামিন A এর ভালো উৎস হতে পারে।

ভিটামিন C ধারণ করা: চোখের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে ভিটামিন C মাধ্যমে আপনি সুস্থ থাকতে পারেন। লেমন, কমলা, আম, আঙ্গুর, টমেটো, ব্রোকলি ইত্যাদি ভিটামিন C এর উৎস হতে পারে।

অমেগা-3 ফ্যাটি এসিড: অন্তর্নির্বাচনে ভিটামিন A এবং অমেগা-3 ফ্যাটি এসিড খুবই গুড়ো হতে পারে। মাছের তেল, কাঁচা তেল, বাদাম, তিলের তেল ইত্যাদি অমেগা-3 ফ্যাটি এসিডের উৎস হতে পারে।

আখরোট: ভিটামিন E এবং জিংক চোখের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। আখরোট এই দুইটি উৎসের হতে পারে।

চোখের স্বাস্থ্য সম্পর্কে এই খাবার সমূহের অতিরিক্ত পরিমাণ খাওয়া কিছুটা সাহায্য করতে পারে, তবে সেই সাথে নিয়মিত চোখের পরীক্ষা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা গুরুত্বপূর্ণ।

চোখের দৃষ্টি কমে গেলে প্রাথমিকভাবে আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। কারণ চোখের সমস্যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে এবং সেটা উপচার ও যত্নের প্রয়োজন হতে পারে। চোখের পাওয়ার কমে গেলে করণীয়  :

ডাক্তারের পরামর্শ নিন: প্রথমেই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন এবং চোখের দৃষ্টির সমস্যার সঠিক কারণ জানুন।

নিয়মিত চোখের পরীক্ষা: নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ এবং চোখের পরীক্ষা করান। এটি চোখের স্বাস্থ্য সম্পর্কে অনুমান করা এবং সমস্যা সম্পর্কে নিরীক্ষা করা সাহায্য করে।

পুরনো চশমা বা নতুন চশমা: সঠিক চশমা বা অন্যান্য লেন্সের প্রয়োজন হলে ডাক্তারের পরামর্শের মাধ্যমে নতুন চশমা বা লেন্স ব্যবহার করুন।

শুধুমাত্র নির্দেশনা মোতাবেক ওষুধ খান: যদি ডাক্তার কোনো ঔষধ প্রেসক্রাইব করেন, তাহলে সেই ঔষধ নিয়মিতভাবে খান।

স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: নিয়মিত হেল্থি খাবার খান, পর্যাপ্ত ঘুম নিন, চোখ পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।

চোখের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য কিছু ব্যায়াম আছে যা চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে। এই ব্যায়ামগুলো আপনার চোখের মাস্কুলার স্ট্রেঞ্জথাকে স্ট্রেঞ্জথা করে তাদের কাজের দক্ষতা বাড়ায় এবং চোখের স্বাস্থ্য উন্নত করে। তাদের মধ্যে  চোখের জ্যোতি বৃদ্ধির ব্যায়াম গুলো হল। যেমনঃ 

পালম রোলস: এই ব্যায়ামে আপনি হাতের কাঁধ এবং চোখের মাস্কুলার স্ট্রেঞ্জথা করতে পারেন। আপনার পালম হাতে গোলাকার হতে হবে, এবং আপনি একটি গোলাকার বস্তু নিয়ে একটি হাতের পালমে প্রেসার অনুভব করতে পারেন যা তাড়াতাড়ি ঘুরিয়ে দিতে হবে।

ফোকাসিং: এটি হল প্রায়োগিক ব্যায়াম যা আপনার চোখের মধ্যে প্রতিফলন চলার দক্ষতা বাড়ায়। এটি করার জন্য আপনাকে একটি ছোট বস্তুর উপর ফোকাস করতে হবে এবং তারপরে অন্য একটি বস্তুর উপর ফোকাস করতে হবে।

কোন খাবার খেলে চোখের দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখে এ বিষয়ে  আমরা উপরের অংশে আলোচনা করেছি।আর এখন আমরা জানব কোন খাবার চোখের জন্য ক্ষতিকর। কিছু খাবার রয়েছে যা চোখের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে বা চোখের স্বাস্থ্যে সমস্যা তৈরি করতে পারে। 

অতিরিক্ত প্রস্তুত খাবার: অতিরিক্ত প্রস্তুত খাবার যেমন প্যাকেটে বা ক্যান থেকে খাবার, বিস্কুট, চিপস, আইসক্রীম, চকলেট ইত্যাদি চোখের স্বাস্থ্য ক্ষতিকর হতে পারে। এই খাবারগুলি অতিরিক্ত শরীরে অবশিষ্ট প্রস্তুত বা মসৃণ এলাকাগুলিতে সংক্রামণ বা অন্যান্য সমস্যা তৈরি করতে পারে।

অতিরিক্ত ধাতুগুলি: অতিরিক্ত আলু, পেঁয়াজ, লবন, মসলা ইত্যাদি যেমন অনেক ধাতু খাবারে থাকতে পারে, তা চোখের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এগুলি অতিরিক্ত মুখে ও চোখে আঘাত করতে পারে এবং চোখের অনুজ্ঞান সমস্যা তৈরি করতে পারে। এখন আপনারা নিশ্চয় কোন খাবার চোখের জন্য ক্ষতিকর এই বিষয়ে কিছু হলেও ধারনা করতে পেরেছেন।

এতক্ষণ আমরা কোন খাবার খেলে চোখের দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখে সেই সম্পর্কে জেনেছিলাম। আর এখন আমরা জানবো কি খেলার মাধ্যমে চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়ে। তো চলুন বিষয় সম্পর্কে জানা যাক। কিছু খেলা আছে যা চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। যেমনঃ

ব্যাডমিন্টন: ব্যাডমিন্টন একটি খেলা যা চোখের মাস্কুলার স্ট্রেঞ্জথা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে। এটি চোখের সঠিক অভিজ্ঞান এবং ব্যবহারের দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

ফুটবল বা ক্রিকেট: ফুটবল বা ক্রিকেট খেলা যেমন বলের গোলাকার ট্রাজেক্টরি বা বলের দিকে সঠিকভাবে নজর দেওয়া, সামনে আসা বলগুলির প্রেকশন বোঝা ইত্যাদি চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

টেনিস: টেনিস খেলা চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়ানোর জন্য ভালো একটি খেলা। এটি চোখের দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

স্কোয়াশ: স্কোয়াশ একটি খেলা যা চোখের স্বাস্থ্যে উন্নতি এনে দিতে পারে। এটি দৃষ্টি শক্তি বাড়ানোর জন্য খুবই ভালো খেলা।

এগুলি খেলার মাধ্যমে চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করতে পারে, কিন্তু চোখের স্বাস্থ্য সম্পর্কে যত্ন নেয়া উচিত। যেহেতু বিভিন্ন খেলা নিয়মিত শরীরের অংশে প্রেক্ষাপটে চোখের মাস্কুলার স্ট্রেঞ্জথা বাড়াতে সাহায্য করে, তাই এগুলি খেলা করা উপযুক্ত হতে পারে।

চোখের দৃষ্টি ৬/৬ করার উপায় আছে, তাদের মধ্যে কিছু হলোঃ

সঠিক পোষণ: আপনার শরীরের সঠিক পোষণ নিশ্চিত করুন, যেমন ভিটামিন A, ভিটামিন C, ইউটিন, জিংক, ইত্যাদি যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

পর্যাপ্ত ঘুম: প্রতিদিন প্রয়োজনে পর্যাপ্ত ঘুম পান। এটি চোখের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

চোখের ব্যায়াম: চোখের ব্যায়াম করা একটি ভাল প্রোক্রিয়া। এর মধ্যে পালক বন্ধ করে বা পালক খোলা রেখে আঙুল দিয়ে ঘুরাতে পারেন, বা বালের দীর্ঘতার সাথে হাস্তের মাধ্যমে চোখ মাসাজ করতে পারেন।

চোখে ভাল পরিস্থিতি মেয়াদ না হওয়া: দীর্ঘকাল ধরে চোখ একই পোস্টিশনে থাকলে এটি চোখের মাসিক অব্যবস্থা এবং দৃষ্টি সমস্যার কারণ হতে পারে। কাজের সময় সময় পায়ে উঠুন, হাত এবং শরীর পরিস্থিতি পরিবর্তন করুন।

কোমর বন্ধ করা: দূর দৃষ্টির সময়ে কোমর বন্ধ করা চোখের প্রশ্রয় বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

নিয়মিত চোখের পরীক্ষা: নিয়মিতভাবে চোখের পরীক্ষা করান, তাতে সমস্যার আগামীতে আগামীকাল ধরে বাধা দেওয়া যায়।

এই কার্যকর উপায়গুলি অনুসরণ করলে আপনি চোখের দৃষ্টি ৬/৬ করার দিকে এগিয়ে যেতে সক্ষম হতে পারেন। তবে, যদি আপনি কোনও চোখের সমস্যা অনুভব করেন, তবে আপনার স্থানীয় চিকিৎসকে দেখাতে বলা হব।

চশমা দূর করার উপায় শুধুমাত্র নির্দিষ্ট একটি পদক্ষেপের মাধ্যমে হয় না, কারণ চশমা প্রয়োজন হতে পারে নিজেদের বিভিন্ন কারণে। তবে, কিছু সাধারিত উপায় আছে যা চশমা থেকে মুক্তি পাওয়ায় সাহায্য করতে পারে:

আপনার চোখের সুস্থ রাখুন: নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করান এবং আপনার চোখের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে পারেন।

প্রতি দুই বছরে চোখের নতুন নতুন চশমা প্রয়োজন হলে পরীক্ষা করান: চশমা পরীক্ষার জন্য নিয়মিতভাবে আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন এবং যদি প্রয়োজন হয় তাদের পরামর্শ নিন।

সঠিক পোষণ: আপনি যেভাবে খাচ্ছেন এবং পোষণের কতো মাত্রা পাচ্ছেন তা ভাল করে মনে রাখুন। চশমা দরকার হতে পারে যদি আপনি কোনও পোষণে অকচু হন।

দীর্ঘকালিন চশমা ব্যবহার করা: দীর্ঘকালিন চশমা ব্যবহারের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং এটি যেভাবে এবং কতক্ষণ ব্যবহার করতে হবে তা মন্তব্য করুন।

চোখের ব্যায়াম করুন: চোখের ব্যায়াম করা চোখের মাসিক অব্যবস্থা থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য সাহায্য করতে পারে।

আলোর মাধ্যমে কাজ করুন: আপনি যদি দীর্ঘকালিন চশমা ব্যবহার করতে বাধ্য থাকেন, তবে আলোর মাধ্যমে কাজ করা যেতে সাহায্য করতে পারে। কাজের জন্য আপনি হেডসেট বা ল্যাপটপ ব্যবহার করতে পারেন যা আপনার চোখের মুখোশ প্রয়োজন হতে পারে না।

প্রিয় গ্রাহক আমরা ইতিমধ্যে কোন খাবার খেলে চোখের দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখে সেই সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আরও আমরা অনেক বিষয়ে জেনেছি যেমন চোখ থেকে চশমা দূর করার উপায়, চোখের দৃষ্টি ৬/৬ করার উপায়, কি খেলার মাধ্যমে চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়ে, চোখের জ্যোতি বৃদ্ধির ব্যায়াম, চোখের পাওয়ার কমে গেলে করণীয় ইত্যাদি।  আসলেই চোখ আমাদের দেহের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। তার জন্য আমাদের চোখের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। আর এই আটিকেলের প্রধান বিষয় ছিল কোন খাবার খেলে চোখের দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখে তা আপনারা নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন। 

এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

এ পোস্টটি পড়ে আপনার যদি কিছু উপকার হয়ে থাকে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। যাতে করে তারাও উপকৃত হতে পারে। আর এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে থাকুন।