ঠান্ডায় ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় এক্ষুনি জেনে নিন

আপনি যদি ঠান্ডায় ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় খুঁজে থাকেন। তাহলে আমাদের এই পোস্টটি আপনার জন্যই এবং ঠোঁট গোলাপি করার উপায় সম্পর্কেও জানতে হলে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। শীতকাল আসা মাত্রই শুষ্ক ত্বক, ঠোঁট ফাটা, ইত্যাদি সমস্যায় আমরা পড়ে থাকি।সমস্যার সমাধান পেতে আমাদের যা করা উচিত এগুলো কি কি তা জেনে নিন।

ঠান্ডায় ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় এক্ষুনি জেনে নিন

সূচিপত্রঃএই শীতের ঠান্ডায় শুরু হয়েছে চারদিকে আমেজ। বাতাসের আর্দ্রতা কমেছে। এই অবস্থায় ত্বকের সাথে ঠোঁটও শুষ্ক হয় । ফলে ঠোঁট ফাটে। মাঝে মাঝে ঠোঁট ফাটার কারনে যন্ত্রণা করে এবং  রক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে। তো চলুন আর দেরি না করে ঠান্ডায় ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানি।

ভূমিকা

শীতকাল আসলেই সারাক্ষণ ঠোঁট শুষ্ক হয়ে থাকে। বারবার লিপ-বাম জাতীয় কিছু ব্যবহার করতে হয়। এগুলো আমাদের ঠোঁটকে কিছু সময়ের জন্য স্বস্তি দিয়ে থাকে । কিন্তু স্থায়ী স্বস্তি দেয় কি অবশ্যই না। অথচ শীতকালের এই শুষ্ক ঠোঁটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার বহু উপায় রয়েছে বাড়িতেই। ঠোঁট ফাটা থাকে মুক্তি পেতে হলে এই পোষ্টের যাবতীয় যে বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে সেই সম্পর্কে আপনাকে খুব মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
 
তাহলে আপনি ঠান্ডায় ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন।
আরো নানা কিছু জানতে পারবেন ঠোঁটের চামড়া ওঠার কারণ  কি এবং কিভাবে এটি থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে সেই সম্পর্কে এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। নিচে ঠান্ডায় ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্তির উপায় এবং কারণ সম্পর্কে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে।

ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে

ঠোঁট ফাটা হওয়ার পিছনে অনেক কারণ থাকতে পারে, তবে মূল কারণ হতে পারে ভিটামিন B-এর অভাব। ভিটামিন B-এর অভাবে ঠোঁটের চার্ম ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং ফাটা যেতে পারে। এছাড়াও, ভিটামিন B সম্পর্কিত অভাব হলে মুখের চার্মে সুস্থ উন্নতি না হওয়া এবং অতিরিক্ত শুষ্কতা অনুভব করা যেতে পারে। ভিটামিন B-এর অভাবে অন্যান্য সমস্যা হতে পারে যেমন স্বাস্থ্যগত সমস্যা, অতিরিক্ত একা থাকা, মানসিক অবস্থার সমস্যা ইত্যাদি।

ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে এখন আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। তবে, যদি কেউ ঠোঁট ফাটা নিয়ে চিন্তিত হয়, তারা একজন চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত যাতে করে পরামর্শ এবং পরীক্ষা করা যায়। অনুষ্ঠানিক পরীক্ষা এবং ভিটামিন পরিমাপ করে নিশ্চিত হতে হবে যে কোনো অভাব বা অন্যান্য সমস্যার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক আছে কি না।

অতিরিক্ত ঠোঁট ফাটার কারণ কি

অতিরিক্ত ঠোঁট ফাটার কারণ কি আমরা অনেকে জানিনা । আপনারা এই আর্টিকেলটি পড়ে অতিরিক্ত ঠোঁট ফাটার কারণ কি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। অতিরিক্ত ঠোঁট ফাটা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। কিছু মানসিক এবং শারীরিক অবস্থা যেমন অতিরিক্ত তাপমাত্রা, আলাদা ধরনের খাবার অথবা পানির অপব্যবহার, বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বা রোগ অথবা অন্যান্য অবস্থার ফলাফলে ঠোঁট ফাটা হতে পারে।যেমন:

খাবার বা পানির অপব্যবহার: অতিরিক্ত তীব্র মসলা, অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা খাবার, শুষ্কতা বা আলাদা ধরনের পানির অপব্যবহারের ফলে মুখে ফাটা হতে পারে।

কোনো অন্যান্য সমস্যা বা রোগ: কিছু সময় কোনো অন্যান্য শারীরিক অবস্থা বা সমস্যা ফাটার কারণ হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একটি সাধারণ রোগ হতে পারে যা শুষ্কতা এবং ফাটা উত্পন্ন করে।
এই সমস্যার কারণ যাচাই করার জন্য সেবাপ্রদ চিকিত্সকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। তারা নিশ্চিত করতে সাহায্য করতে পারেন এবং সঠিক চিকিত্সা বা পরামর্শ প্রদান করতে পারেন।

ঠোঁটের চামড়া ওঠার কারণ

ঠোঁটের চামড়া ওঠার কারণ বিভিন্ন কারণের ফলে হতে পারে। কিছু সাধারণ কারণ হতে পারে:
তাপমাত্রা: গরমে অথবা ঠান্ডা আতঙ্কে মুখের চামড়া উষ্ণ বা ঠাণ্ডা হতে পারে এবং এটি শুষ্ক হতে পারে বা ফাটা যেতে পারে।
অতিরিক্ত হাইজিন: মুখের চামড়ার পরিস্কার ধরন ও অতিরিক্ত সাবান বা ডেটার্জেন্টের ব্যবহারের ফলে তা শুষ্ক হতে পারে এবং ফাটা যেতে পারে।
অনাহার: মুখের চামড়ার সঠিক দেখভাল না করার ফলে অনাহারের সমস্যা হতে পারে এবং তা শুষ্ক হতে পারে এবং ফাটা যেতে পারে।

এই সমস্যার জন্য উপযুক্ত দেখভাল প্রদান করা প্রয়োজন। মুখের চামড়ার স্বাস্থ্যগত দেখভাল নিশ্চিত করতে প্রতিদিন মুখ পরিস্কার রাখা, উষ্ণ ও ঠাণ্ডা অবস্থায় সঠিক যত্ন নেওয়া, মুখ ধোয়ার জন্য মানসম্পন্ন সাবান বা ক্লিঞ্জার ব্যবহার এবং পর্যাপ্ত পানি পান ইত্যাদি ভালো উপায় হতে পারে।
যদি আপনার মনে হয় যে এই সমস্যার সাথে আরও কোনো সমস্যা জড়িত হতে পারে অথবা এটি স্থায়ী না হয়, তাহলে একজন চিকিত্সকের পরামর্শ অবশ্যই পেতে হবে।

ঠান্ডায় ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়

১। ঠান্ডায় ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় পেতে নিম্নলিখিত কিছু উপায় দেওয়া হলোঃ
ঠোঁট পরিষ্কার রাখুন: ঠোঁট পরিষ্কার রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দিনে কমপক্ষে দুইবার মুখ পরিষ্কার করা উচিত।
হাল্কা হাল্কা গরম পানি দিয়ে কুলি করুন: হাল্কা গরম পানি দিয়ে কুলি করা ঠোঁটের ফাটা এবং স্থিতি সাহায্য করতে পারে।

হালকা লাবণ্য জল: গরম পানি দিয়ে সালাই করা হালকা লাবণ্য জল ব্যবহার করা ঠোঁটের ফাটা শান্ত করতে পারে।
যদি কোনো কারণে ঠোঁটের ফাটা খুব বেশি বা স্থিতি দুর্গতি করে তবে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন এবং তার পরামর্শ মেনে চলুন।

ঠোঁট ফাটার ক্রিম

অনেক প্রকার ঠোঁট ফাটার ক্রিম সহজেই পাওয়া যায় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট । ঠোঁটের ফাটা সমস্যার জন্য কিছু ক্রিমের নাম হল যেমন:
লিপ বাম: এটি ঠোঁটের ফাটা সমস্যা নিরাময় করতে ব্যবহৃত হয়। এর মাধ্যমে ঠোঁটের পরিস্কারতা বজায় রাখা যায়।
ভ্যাসেলাইন: এটি ঠোঁটের ফাটা সমস্যা মোকাবেলা করে এবং ঠোঁটের পরিস্কারতা বজায় রাখে।
স্যালাইন: হালকা লাবণ্য যুক্ত সালাইন ঠোঁটের ফাটা শান্ত করতে সহায়ক হতে পারে।

আলোভেরা জেল: এটি শুষ্ক ঠোঁটের ফাটা সমস্যা মোকাবেলা করে এবং ঠোঁটের পরিস্কারতা বজায় রাখে।
এই প্রোডাক্টগুলি সাধারণভাবে ভানি ও ঠোঁটের সুস্থতা বজায় রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে, যদি আপনার ঠোঁটের ফাটা অস্বাভাবিক বা কোনও অনুসন্ধানী লক্ষণ দেখা দেয়, তবে সেই সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে ভুলবানা না।

ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার প্রতিকার

ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার প্রতিকার নিতে বা ঠান্ডায় ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আর বিস্তারিত জানতে এই আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন। ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার প্রতিকার পেতে নিচে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পদক্ষেপ দেওয়া হলো।

এটি সাধারিত পদক্ষেপ হতে পারে:
১. গরম পানি দিন: ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার সময়ে প্রথম কাজ হলো গরম পানি খাওয়া বা তার দ্বারা মুখ পরিষ্কার করা। গরম পানি ঠোঁটের চারপাশের চারপাশের চারপাশে পৌঁছাতে সাহায্য করতে পারে এবং তা ঠোঁটের অসুখ কমিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে।
২. তেজগিরি করা: একটি নীল থাকলে বা ঠোঁট ভারী থাকলে, আপনি একটি সাধারিত দস্তানুস্তান দিতে পারেন বা দ্রুত কাজ করতে পারেন। তেজগিরি করার মাধ্যমে ঠোঁটের চলাচল আরও বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

৩. পুনঃপ্রোণালী ব্যবহার করুন: মুখের চারপাশে বা ঠোঁটে সুজোন হতে পারে এবং এটি ঠোঁটের শোকজনক অবস্থা কমাতে সাহায্য করতে একটি পুনঃপ্রোণালী ব্যবহার করা হতে পারে।
যদি ঠোঁটের শোকজনক অবস্থা দ্বারা কারও চিকিৎসার প্রয়োজন হয়, তবে এটি একজন চিকিৎসকে দেখাতে সহায়ক হতে পারে।

ঠোঁট গোলাপি করার উপায়

ঠোঁট গোলাপি হওয়া একটি সাধারণ সমস্যাও হতে পারে, যা বিভিন্ন কারণে ঘটতে পারে, যেমন অ্যালার্জি, ইনফেকশন, ভাইরাস ইত্যাদি। ঠান্ডায় ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি। তবে, ঠোঁট গোলাপি করার উপায় এর জন্য কিছু সাধারিত সমাধান আছে যা নিম্নে উল্লেখ করা হয়েছে:

তুলসি পাতা: তুলসি পাতা একটি প্রাকৃতিক উপায় হতে পারে ঠোঁটের সুজোন এবং গোলাপি হওয়ার জন্য। এটির জন্য তুলসি পাতা চবিৎ করুন এবং তা পোষণকর হলে মুখে রাখুন।
হালদি এবং শঙ্খপুষ্পি বিষয়ের চা: হালদি ও শঙ্খপুষ্পি বিষয়ের চা ঠোঁটের অসুখ এবং সুজোন কমাতে সাহায্য করতে পারে। এগুলি একটি কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে খাওয়া যায়।

যত্ন নেওয়া: মুখের যত্ন নেওয়া মুখ্যতঃ হাইজিন মেনে চলা প্রয়োজন। যত্নের প্রতি ধারণা নেওয়া এবং ব্যক্তিগত সাবধানতা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
যদি ঠোঁট গোলাপি হওয়া থাকে এবং এটি কিছুদিন ধরে হয়ে থাকে বা তার সাথে অসুস্থতা বা অন্যান্য সমস্যা থাকে, তবে একটি চিকিৎসকে দেখাতে উচিত।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় গ্রাহক আজ আমরা ঠান্ডায় ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়,ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে,অতিরিক্ত ঠোঁট ফাটার কারণ কি,ঠোঁটের চামড়া ওঠার কারণ,ঠোঁট ফাটার ক্রিম,ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার প্রতিকার ও ঠোঁট গোলাপি করার উপায় এইসব বিষয়ে জানতে পারলাম। 
এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

এ পোস্টটি পড়ে আপনার যদি কিছু উপকার হয়ে থাকে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। যাতে করে তারাও উপকৃত হতে পারে। আর এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জনি ওয়েবের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url