ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেড়েছে দেশজুড়েই ডেঙ্গু জ্বরকে শুধুমাত্র ভাইরাল জ্বর বলা যাবে না। ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। আজকের আর্টিকেলে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আপনারা জানতে পারবেন। আরো জানতে পারবেন ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় কি কি।

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

সূচিপত্রঃডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়ার কারণে ভাইরাল জ্বর হলেও মানুষ এখন ডেঙ্গু জ্বর মনে করে হাসপাতালে যাচ্ছেন। ডেঙ্গু জ্বর ও ভাইরাল জ্বর দুটোই ভিন্ন ধরনের জ্বর। এখন আমরা ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তো চলুন বেশি কথা না বলে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক।

ভূমিকা

এই সময়ে দেশ জুড়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি হওয়ায় । জ্বর হলে এটিকে অবহেলা করা উচিৎ নয়। তার জন্য আমাদের একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নিকট যাওয়া। ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার ইত্যাদি আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। যেমন ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয়, ডেঙ্গু রোগের কারণ, ডেঙ্গু প্রতিরোধের সচেতনতা, ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে, ডেঙ্গু জ্বর হলে কি ওষুধ খেতে হবে, ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খাওয়া উচিত ইত্যাদি।
আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। তো চলুন ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করা যাক।

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

ডেঙ্গু একটি ভাইরাসের কারণে উৎপন্ন একটি জনসাধারণ জ্বরের রোগ যা আক্রান্ত ব্যক্তিকে অসুস্থ করতে পারে। ডেঙ্গু ভাইরাস মশা দ্বারা ছড়ায়। ডেঙ্গুর মূখ্য লক্ষণগুলি হতে পারে।
জ্বর: ডেঙ্গু জ্বরের মূল লক্ষণ হলো অস্ত্রঘাতক জ্বর, যা সাধারণভাবে একই সময়ে প্রাথমিকভাবে শুরু হয়। জ্বর একধরনের সম্ভাব্য উৎসাহী হয় এবং এটি উচ্চ তাপমাত্রা সহিত থাকতে পারে।

শরীরে ব্যথা ও পুরো শরীরে মাংসপেশী ব্যথা: ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তি অত্যন্ত ব্যথিত হতে পারে, এবং এটি সাধারণভাবে হাঁচি দিতে, মুখ ও মুখোশ ব্যথা হতে পারে।
চোখে চোখে চলে আসা: ডেঙ্গু জ্বরের একটি আশঙ্কাজনক লক্ষণ হলো ডেঙ্গু হেমরেজিক ফিভার (Dengue Hemorrhagic Fever - DHF) বা ডেঙ্গু শক্ত হেমরেজিক ফিভার (Dengue Shock Syndrome - DSS) এর ক্ষতিকারক রূপে পরিণত হওয়া। এটি চোখের সাদা অংশ এবং বাড়তি চোখের পুতুলিতে প্রতিবিম্ব হতে পারে।

ডেঙ্গুর বিশেষ প্রতিকার হলো পর্যাপ্ত আরাম এবং পর্যাপ্ত তরল পূর্ণনেন্দ্রন। রোগীর দেহে তরল স্তর বৃদ্ধি করতে পানি, নারিকেল জল, এবং ইলেক্ট্রোলাইট সহ সহায়ক পদার্থ যেমন ওরসোল, রেহাইড্রেশন সলিউশন প্রয়োজন হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ হলো, ডেঙ্গু একটি জীবাণুমুক্ত বাতাসিত রোগ নয়, এবং মশা নিয়ন্ত্রণে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। আপনি যদি ডেঙ্গু জনিত লক্ষণ অনুভব করেন, তাদের সাথে দ্রুত একজন চিকিৎসকে দেখাতে হবে।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয়

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় গুলো হলোঃ
মশা নিয়ন্ত্রণ: ডেঙ্গু জ্বর এডিস মশা এবং এজেপ্টি মশা দ্বারা ছড়ায়। মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য বাসায় মশার কোয়েল, মশার নেট, এবং প্রযুক্তিগত পদক্ষেপ (যেমনঃ মশার প্রতিরোধক কর্তন) ব্যবহার করা উচিত।
স্থান পরিবর্তনঃ ডেঙ্গু জ্বর এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে প্রচুর ছড়ায়, এবং পূর্বে আক্রান্ত হয়নি এমন এলাকায় যাওয়া উচিত। ডেঙ্গু মশার প্রজননের জন্য স্ট্যাগনেন্ট পানির কুমি এবং বৃষ্টির পানির জমি উচ্চ ঝুলাই জমির সাথে যোগাযোগ করতে পারে। এই জমির পানিতে মশা লারভা বা পূর্ণাঙ্গ মশা বাড়তি পায়।

শরীর সুরক্ষা: ডেঙ্গু জ্বর এডিস মশা দ্বারা ছড়ায়, এই মশা দিনের সময়ে কারও উপর ছড়াতে পারে। তাই, প্রতি সময় পোশাকের মাধ্যমে শরীর ঢাকা উচিত।
শক্তির খাদ্য খাওয়া: ডেঙ্গু জ্বরের সময়ে রোগীর শক্তি শক্তিশালী রাখা গুরুত্বপূর্ণ। বৃষ্টির পর এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত।ডেঙ্গু জ্বর শক্তিশালী হয়ে যাওয়ার জন্য সম্ভাবনা অনেক ভালো হয়ে থাকে। তবে, এটি গভীর ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন, তাদের চিকিৎসা জনিত পেশাদার চিকিৎসকের সাথে সাক্ষাৎ করা গুরুত্বপূর্ণ।

ডেঙ্গু রোগের কারণ

ডেঙ্গু রোগের কারণ ডেঙ্গু ভাইরাস, যা একটি এরবিভিষ্ট ভাইরাস (Flavivirus) গণের সদস্য। এই ভাইরাস এডিস এবং এজেপ্টি মশা দ্বারা লোকের কাছে ছড়ায় এবং জনসংখ্যা বাড়তে বা ডেঙ্গু জ্বর হতে সহায়ক হতে পারে। ডেঙ্গু জ্বরের জন্য প্রধান জনসংখ্যার একটি অংশ হলেও এটি একই সঙ্গে ভাইরাস এডিস মশা থেকে এবং আশা করা হয় যে এই ভাইরাস এজেপ্টি মশা দ্বারা ও ছড়াতে পারে।

এডিস মশা এবং এজেপ্টি মশা ডেঙ্গু ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের এবং রোগের প্রতি আক্রমণের মৌলিক দাঁত হিসেবে বিশেষভাবে প্রমুখ হয়। এডিস মশা মুখ্যভাবে সময়ের সাথে জনপ্রবাহে যাওয়া স্থানে জনসংখ্যা বাড়াতে সক্ষম এবং ডেঙ্গু জ্বর প্রবণতা বাড়াতে সহায়ক হতে পারে। ডেঙ্গু জ্বর ভাইরাস মানুষের রক্তে একটি দিনের মধ্যে মশা মাধ্যমে ছড়াতে পারে এবং এটি একজন সুস্থ মানুষের রক্তে আসতে বাধা দেয় না। এটি মশা দ্বারা এবং মানুষের মধ্যে সংক্রমণের জন্য একটি জিক্রিত চক্র তৈরি করতে সক্ষম।

ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে

ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে এ বিষয়ে আমরা অনেকেই জানিনা, তাহলে চলুন বিষয়টি জেনে নেওয়া যাক। ডেঙ্গু জ্বর মোট ২-৭ দিন সত্ত্বেও স্বল্পই থাকতে পারে। এই সময়ের মধ্যে রোগীর জীবনধারার সহারা ও সহজসময়ে চিকিৎসা করলে অনেক ভালো হয়। ডেঙ্গু জ্বরের উপাদানগুলির মধ্যে মোটামুটি তিনটি স্টেজ থাকে।

অভ্যন্তরীণ জ্বর (Febrile Phase): এটি ডেঙ্গু সংক্রমণ হয়ে থাকার পরে প্রাথমিক জ্বরের প্রকাশের সময়। এই স্টেজে রোগী উচ্চ জ্বর, শরীরে মাংসপেশী ও হাড়ে ব্যাথা, শীতলতা, শ্বাসকষ্ট, ওজন কমে যাওয়া, প্রতিবেদন হয়ে থাকে। এই অবস্থায় এক থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত এই লক্ষণগুলি থাকতে পারে।
প্যানড্রমিক স্টেজ (Critical Phase): অভ্যন্তরীণ জ্বর থাকার পর এটি সাধারিতভাবে ৩-৭ দিন পরে শুরু হয়। এই স্টেজে রক্তচাপ কমে যাওয়া, প্লেটলেট সংখ্যা কমে যাওয়া এবং রক্তের ওজনের সাথে প্রমাণিত ত্বক ও মুখে লাল দাগ হতে পারে। এটি জীবনবহুল হতে পারে এবং রোগী এখন প্রথমবার শক্তিশালী হতে পারে।

পুনরুত্থান স্টেজ (Convalescent Phase): এই স্টেজে রোগী পূর্ণ ভালো হয়ে যায় এবং প্রধান লক্ষণের অগ্রগতি হয়। সাধারিতভাবে এই স্টেজ ২-৫ দিন পরে শুরু হয়।
এই সময়কালে যেভাবে চিকিৎসা করা হয়, সেটি রোগীর জীবনধারার দক্ষতা, স্বাস্থ্য অবস্থা, এবং অন্যান্য পরামর্শের ভিত্তিতে ভিন্ন হতে পারে। গম্ভীর ডেঙ্গু সন্দেহ হলে, সঙ্গের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা গুরুত্বপূর্ণ।

ডেঙ্গু জ্বর হলে কি ঔষধ খেতে হবে

ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসায় আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, কারণ ডেঙ্গু একটি গম্ভীর জ্বর হতে পারে এবং চিকিৎসা প্রস্তুতির জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা গুরুত্বপূর্ণ। ডেঙ্গু জ্বর হলে কি ঔষধ খেতে হবে বিশেষজ্ঞরা বলছে। ডেঙ্গু জ্বরের জন্য কোনও নির্দিষ্ট ভাইরাস নাশক ওষুধ নেই, এবং এটির জন্য ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এটি শারীরিক অবস্থা ও লক্ষণের উল্লেখ নেয়া হয়ে সেই দিকে চিকিৎসক সরাসরি বিষয়বস্তুত পরামর্শ দিতে পারেন।

কিছু ক্ষেত্রে, রোগীকে উপচারের জন্য শুধুমাত্র ব্যবস্থাপত্র, তাপমান নিয়ন্ত্রণ এবং ড্রিংকিং পানির জন্য পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে। আবার, কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্য দপ্তরগুলি ডেঙ্গু চিকিৎসায় জরুরি অবস্থায় রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করতে পারেন। সচরাচর ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসায়, নিচের কিছু বিষয় মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। শুধুমাত্র ব্যবস্থাপত্র ও প্রতিষ্ঠানের পরামর্শে নির্ভর করুন। রোগীর লক্ষণ এবং অবস্থার ভিত্তিতে চিকিৎসক সরাসরি চিকিৎসার পরামর্শ দেবেন।

শক্তিশালী হতে হবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করে রোগীকে শক্তিশালী রাখা গুরুত্বপূর্ণ। তাপমান নিয়ন্ত্রণ করুন তাপমান নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি, এবং অত্যন্ত উচ্চ তাপমান বা অত্যন্ত নীচ তাপমানের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা গুরুত্বপূর্ণ।
এই সময়ে, যেকোনো ঔষধ নিতে আগে রোগীর অবস্থা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই জরুরি।

ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খাওয়া উচিত

ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। ডেঙ্গু জ্বরে খাওয়ার ক্ষেত্রে রোগীকে সঠিক পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, যা তার স্বাস্থ্য অবস্থা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। তবে, ডেঙ্গু জ্বরে রোগীর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সব রোগীর অবস্থা একই হয় না।

প্রচুর পানি: ডেঙ্গু জ্বরে হলে রোগীকে প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়া উচিত। এটি ডেহাইড্রেশন (তরল অবস্থান হারানো) প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
সঠিক পুষ্টিকর খাদ্য: রোগীকে সঠিক পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়া উচিত। এটি তার শক্তি বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। বার্ষিক সবজি, ফল, গরুর মাংস, মাছ, ডাল, আপেল, জোল, তাজা সবজি ও ফল ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে খেতে উচিত।
ভিটামিন ও খনিজ সাপ্লিমেন্টস: রোগী যদি অসুস্থ বা দুর্বল হোন, তাদের কাছে ভিটামিন ও খনিজ সাপ্লিমেন্টস প্রদান করা হতে পারে।

সাদা ওট বা খুদির পানি: রোগীদের কিছুটা হালকা সাদা ওট বা খুদির পানি খেতে দিতে পারে, কারণ এটি প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
প্রতিশ্রুঙ্গ মস্তিষ্কের চিকিৎসা প্রতিশ্রুঙ্গ মস্তিষ্কের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞের পরামর্শে এবং উপযুক্ত প্রশিক্ষণ এর জন্য রোগী একজন ডেঙ্গু সংক্রমণের প্রভাবে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকে দেখাতে পারে।
প্রস্তুতি এবং খাদ্য পদার্থ রোগীর অবস্থার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন হতে পারে, এবং রোগীর চিকিৎসক যদি কোনও সুপারিশ করে তবে সেই সুপারিশগুলি অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

লেখকের মন্তব্য 

আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলাম। আরো জানতে পারলাম ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খাওয়া উচিত, ডেঙ্গু জ্বর হলে কি ঔষধ খেতে হবে, ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে , ডেঙ্গু রোগের কারণ, ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় ইত্যাদি। আর্টিকালি আপনারা জানতে পেরেছেন।

এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে থাকুন। আর এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোন উপকার হয়ে থাকে তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন যাতে করে তারা উপকৃত হতে পারে এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জনি ওয়েবের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url